মার্ভেল ফিভার.(Part - 1)


 মার্ভেল কমিক্স ; পৃথিবীর অন্যতম বড়ো কমিক্স ইউনিভার্স; যার স্টোরিলাইনে মুক্তি পেয়েছে অসংখ চলচিত্র।  পৃথিবীময় মার্ভেল সুপারহিরোদের ফ্যান গুনে শেষ করা যাবে না. , এমনকি আমি নিজেও খুব বড়ো  ফ্যান না হলেও,মাঝারি লেভেলএর ফ্যান।  বোধকরি, টেবিল ফ্যান বলাই যায় 😛😛😛😛.
    আজ থেকে শুরু  করলাম মার্ভেল কমিক্স এর অজানা একককক গাদা ফ্যাক্টস-এর সিরিজ।

১. এক্স-ম্যান কমিক-এর সবথেকে জনপ্রিয় চরিত্র , উলভারিন মূলত হাল্ক-এর  শত্রু ছিল। সেখানে প্রদর্শিত  মূল উল্ভারিনের হাতে স্থাপিত ক্ল ছিল না, প্রকৃতপক্ষে তিনি ক্ল লাগানো গ্লাভস পরতেন। তিনি স্পাইডার-ম্যানের মত ইন্দ্রিয় শক্তি ব্যবহার করতেন ।

২. ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডালের পর, ক্যাপ্টেন আমেরিকা মার্কিন সরকারের প্রতি এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন যে , তার পর থেকে তিনি  "দ্য নোমাড " হিসেবে পরিচিত  হন ।

৩. ১৯৯৭ সালে ডিসি / মার্ভেল-এর একটি সমন্বিত বিশেষ পর্বে  ব্যাটম্যান / ক্যাপ্টেন আমেরিকা, রেড স্কল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি পারমাণবিক বোমা চুরি করার জন্য জোকারকে নিয়োগ দেয়। জোকার ব্যাটম্যান, ক্যাপ এবং রবিনকে ভুল পথে নিয়ে যায় এবং বোমাটি  স্কালকে হস্তান্তর করতো , কিন্তু যখন তিনি বুঝতে পারেন  যে স্কাল নাৎসি (saying “I may be a criminal lunatic but I’m an American criminal lunatic!” ) তখন ভীত হয়ে পড়ে । ঘটনাচক্রে, যখন স্কাল  ওয়াশিংটন ডিসি-তে বোমা আক্রমণ করার হুমকি দেয়, তখন জোকার এবং স্কাল এর মধ্যে লড়াই শুরু হয় বোমাবাহী বিমানের কার্গোতে ।  ক্যাপ্টেন আমেরিকা এবং ব্যাটম্যান বিমানটিকে চালনা করে  সমুদ্রের উপর নিয়ে আসেন এবং  বিস্ফোরণের ঠিক আগেই  বোমাসমেত  দুই সুপারভিলেন জোকার  ও স্কাল মহাসাগরে পড়ে  যান । ক্যাপ্টেন আমেরিকা এবং ব্যাটম্যান উভয়ই নিশ্চিত যে ওই দুজন ওই বিস্ফোরণের পর ও নিজেদেরকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন  এবং  এখনও বেঁচে আছেন।

৪.  শুরুর দিকে , স্ট্যান লী হাল্কের শরীরের  জন্য  ধূসর রঙ মনোনীত করেছিলেন। কালারিস্ট স্ট্যান গোল্ডবার্গের ধূসর রঙের সমস্যার কারণেই আজ আমরা হাল্ককে সবুজ রঙে দেখতে পাই।

৫. আয়রন ম্যান-এর ক্যারেক্টর তৈরী, স্ট্যান লি-এর কাছে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।  সে এমন একজন  সুপারহিরো চেয়েছিলেন ,যে অন্য কারোর মতোই নয় ; যাকে শুরুতে কেউই পছন্দ করে না  এবং  সে  অন্যদেরকে  তাকে পছন্দ করতে বাধ্য করে।

৬. টিনএজ  মিউট্যান্ট নিনজা টার্টল  মূলত ডেয়ারডেভিলের একটি প্যারডি ছিল, এবং এরা  উভয়ই  একই দুর্ঘটনা থেকে তৈরি হয়েছিল।

৭. মার্ভেল এবং ডিসি কমিকস-এর সমন্বয়ে  আমলগাম কমিক্স তৈরি হয় ; যেখানে এই দুই ইউনিভার্স-এর মিক্সড ক্যারেক্টর দেখা যায়। যেমন ডার্কক্ল (ব্যাটম্যান + ওলভারিন), সুপার সোলজার (সুপারম্যান +ক্যাপ্টেন আমেরিকা), এবং আয়রন ল্যান্টার্ন (গ্রীন  ল্যান্টার্ন + আয়রন ম্যান)  ইত্যাদি।

৮. মার্ভেলের উল্লেখযোগ্য সুপারহিরোজ এবং ভিলেনগুলি আইরিশ বংশসদ্ভুত। যেমন : ক্যাপ্টেন আমেরিকা, বিস্ট, আইস ম্যান, এন্ট-ম্যান, ডেয়ারডেভিল, বুলস-আই  এবং ডুম ডুম দুগান।

৯.. একবার  স্ট্যান লি এবং জ্যাক কিরবি  মার্ভেল কমিকস এর  জন্য ভিলেন তৈরির সময় বাইবেল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন । যার ফলে আমরা পেয়েছি  গাল্যাক্টাস  (ঈশ্বর) এবং সিলভার সার্ফার (শয়তান) . .

১০. কাহিনীতে ডেডপুল মার্ভেল ইউনিভার্সকে হত্যা করে। ঘটনাটি এমন :  এক্স-ম্যান, থেরাপির জন্য ডেডপুলকে একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ডক্টরের ছদ্দবেশে তার চিকিৎসা করতেন সাইকো-ম্যান (ভিলেন ), যিনি তার ব্যক্তিগত রোষের জন্য ডেডপুলকে নির্যাতন ও ব্রেন - ওয়াস  করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয় এবং  ডেডপুল আরো  মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।  ফলস্বরূপ, তিনি সাইকো ম্যানকে হত্যা করেন এবং মার্ভেল  ইউনিভার্স এর  প্রতিটি সুপারহিরো ও সুপারভিলেনকে , এমনকি  কমিক বই নির্মাতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে  একের পর এক তাদের  হত্যা করতে  শুরু করেন। বইটির শেষে  তিনি পাঠকের কাছে ফিরে যান, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন , এই ইউনিভার্স হত্যা করার  পর , "আমি শীঘ্রই আপনাকে খুঁজে নেব ।"

১১. ডেডপুলের "মাঝারি সচেতনতা" রয়েছে যে  তিনি একটি কমিক বইয়ের একটি কাল্পনিক চরিত্র  এবং এটি তার মানসিক অবস্থার কারণে মনে করা হয়।


                                                                চলবে ...........

0 Comments